সেনবাগ বার্তা ডেস্ক:
নোয়াখালী জেলার সেনবাগে গত ৭ জুলাই থেকে ভারী বর্ষণ এবং দূর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে জনজীবন স্থবির হয়ে পড়েছে। উপজেলার ৯ টি ইউনিয়ন এবং ১ টি পৌর সভা সহ পুরো উপজেলার সর্বত্র অবিরাম বৃষ্টির কারণে পুকুর, খাল এবং জলাশয় গুলো পানিতে থৈথৈ করছে। ইতিমধ্যেই শিক্ষা প্রশাসনের নির্দেশনায় ৯ এবং ১০ জুলাইয়ের চলমান মাধ্যমিকের অর্ধ বার্ষিক পরীক্ষা স্থগিত ঘোষণা সহ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এ মিলে উপজেলার ১৫০ টি মতো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চলমান শিক্ষা কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে স্থানীয়ভাবে খাল এবং জলাশয়, কালভার্টের নীচ অথবা আশপাশে ব্যক্তি উদ্যোগে করা বাধ,ভেয়াল জাল গুলো সরিয়ে পানির স্বাভাবিকগতি বাড়িয়ে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি যাতে না হয় এমন সচেতনতা মূলক নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে উপজেলার জলাবদ্ধতা সৃষ্টিকারী স্থান গুলো চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ নেওয়া শুরু হয়েছে। প্রশাসনের পাশাপাশি স্থানীয় জনপ্রতিনিধি সহ সচেতন মহল একাজগুলোতে অংশ নিচ্ছে।
চলমান অব্যাহত বর্ষণে কৃষকের জমির ফসল এবং মৎস্য চাষিদের মাছের খামার গুলো বড় রকমের ঝুঁকিতে রয়েছে।
উপজেলার সাধারণ লোকজন বলছে পুরোপুরি বর্ষা শুরু হওয়ার আগেই বন্যার মতো অবস্থা হয়ে গেছে কয়েকদিন পরে পুরো বর্ষা মৌসুমে গত বারের মতো বন্যা যাতে না হয় সেজন্যে এখন থেকে সবাইকে সচেতন হতে হবে। বিশেষ করে কানকিরহাট, ছাতারপাইয়া, ছমিরমুন্সি বাজার সহ আশপাশের খালগুলো জরুরিভিত্তিতে পরিষ্কার এবং ভেশাল জাল গুলো উচ্ছেদ করে পানির স্বাভাবিক গতি ফিরিয়ে আনতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার।
অনেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লিখেছেন- বন্যা হলে ত্রান চাই না,বন্যা যাতে না হয় সেব্যবস্থা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আগেই চাই। পোল -কালভার্ট, খাল, ডোবা এবং জলাশয় গুলোর পরিষ্কার করা সহ জলাবদ্ধতা নিরশন করা গেলে বন্যার প্রকোপ থেকে সেনবাগ বাঁচবে, বাঁচবে সেনবাগের মানুষ। সাধারণ মানুষের কথা হলো- 'ত্রাণ চাই না, চাই বৃষ্টির পানির দ্রুত অপসারণ চাই'।
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোঃ মনোয়ারুল হক , মোবাইল: ০১৭১৮৮৬৩০৪৫, সেনবাগ, নোয়াখালী।
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত